জেলার শাজাহানপুরে জুসখোলা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে শিবলু রহমান (৩০) নামে এক রিকশা চালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বুকে ও পরনের লুঙ্গিতে মৃত্যুর জন্য স্ত্রী রোকসানা আকতারকে দায়ী করে লেখা ছিল লাল কালিতে।
সোমবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
তবে নিহতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, পরকীয়ার কারণেই রোকসানা তাকে হত্যা করিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, মৃতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। বুকে অস্পষ্ট কিছু লেখা আছে। পারিবারিক কলহে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এরপরও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
শিবলুর স্বজনরা জানান, ধুনটের বিলচাপড়ি গ্রামের শাহাদুজ্জামান রঞ্জু মিয়ার ছেলে শিবলু রহমান প্রায় দেড় বছর আগে শাজাহানপুর উপজেলার জুসখোলা গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে রোকসানা আকতারকে বিয়ে করেন।
নিহতের বুকে ও লুঙ্গিতে লেখা
রোকসানা স্বামী বাড়িতে যেতে রাজি না হওয়ায় গত ৪ মাস ধরে শিবলু শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। সোমবার সকালে ঘরে তীরের সাথে শিবলুর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
শিবলুর বুকে লাল কালিতে লেখা ছিল, আমি মরার জন্য রুকছানাই দায়ি। আমি তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। ও অন্য ছেলেকে বিয়ে করার কথা যদি আমাকে কয় তাহলে কি মাথা ঠিক থাকে।
শাজাহানপুর থানার এসআই জাহাঙ্গীর কবীর জানান, নিহতের বুকে ও লুঙ্গিতে অস্পষ্টভাবে কিছু লেখা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ দিয়ে লেখাগুলো পরীক্ষা করানো হবে।